সুনামিতে মৃত্যুর ক্ষতিপূরণ দিতে হচ্ছে জাপান সরকারকে
সুনামিতে মৃত্যুর ঘটনায় প্রথমবারের মতো জাপান সরকারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে বলে রায় এসেছে আদালত থেকে।
২০১১ সালে প্রলয়ঙ্করী সুনামিতে নিহত ২৩ স্কুল শিশুর অভিভাবকদের করা এক মামলায় বুধবার দেশটির এক আদালত এ ঐতিহাসিক রায় দেন। এর মধ্যে দিয়ে জাপান সরকারকে প্রাকৃতিক দুর্যোগের দায় নিতে হচ্ছে।
বুধবার সেন্দায় জেলা আদালতের সহকারি বিচারক কেনজি তাকামিয়া রায় ঘোষণায় বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ নিঃসন্দেহে মানুষের কোনো হাত নেই। কিন্তু সঠিক সময়ে সর্তক করে দিলে নিশ্চয়ই এত বড় ক্ষতি হতে পারত না। এর দায় সরকার ও স্থানীয় প্রশাসন এড়াতে পারে না।
২০১১ সালে মার্চে ঘটে যাওয়া ভয়ংকর সুনামিতে জাপানে কয়েক হাজার মানুষ নিহত হন। পারমাণবিক চুল্লি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় তেজষ্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়ে। আর এর শিকার হয় মিয়াগি প্রদেশের ইশিনোমিয়াকি সিটিু ওকায়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২৩ শিশু। ঘটনার দিন স্কুল কর্তৃপক্ষের দায়িত্বে অবেহেলার জন্য হঠাৎ আঘাত হানা সুনামিতে নিহত হয় এসব শিশু।
এর প্রেক্ষিতে শিশুদের অভিভাবকরা পরবর্তীতে আদালতে সরকার ও স্থানীয় সিটি করপোরেশনের বিরুদ্ধে মামলা করে।
আদালত রায়ে বলেছেন, সিটি কর্তৃপক্ষ কেন আগাম বার্তা স্কুলে পাঠায়নি? তারা ইচ্ছে করলে শিশুগুলোকে পাশ্ববর্তী উঁচু স্থানে সরিয়ে নিতে পারত। এটি অপরাধ। তা ছাড়া স্কুল কর্তৃপক্ষও কেন রাস্তায় গাড়ি চলাচল বন্ধ দেখে বুঝতে পারেনি যে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগের কোনো বার্তা আছে কি না।
স্থানীয় সরকারকে প্রতিটি শিশুর জন্য ১ কোটি ৩৪ লাখ ডলার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
ওদিকে, রায় পাওয়ার পর নিহত এক শিশুর বাবা স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন, এটি সত্যই ঐতিহাসিক রায়। আমরা ভেবেছিলাম, সরকার হয়ত তাদের দায়িত্ব অবহেলার কথা অস্বীকার করবে। কিন্তু রায়ে আমরা সন্তুষ্ট হয়েছি। এরপর প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় সরকার আরও বেশি সর্তক হবে।