কেন ভারতীয়রা দলে দলে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করছে ?

আসলে ভারতের অর্থনৈতিক অবস্থা খুবই খারাপ। আর সাম্প্রতিক মাত্রাতিরিক্ত খরা দেশটির অর্থনীতির মেরুদণ্ড একেবারে ভেঙ্গে দিয়েছি। এবারের খরায় দেশটির ৩৩ কোটি লোক আক্রান্ত হয়, ফসল নষ্ট হয়ে কৃষকরা সব আত্মহত্যা করছে, বেঁচে থাকার তাগিদে জনগণ শহরমুখী হয়।
কিন্তু শহরে তো আর চাকুরী নিয়ে কেউ বসে নেই। ফলে গ্রামের এক সময় ধনীরা শহরে গিয়ে শ্রমিকের চাকুরী নেয়, আর নারীরা করে দেহবিক্রি ।

অর্থনৈতিক কষ্টে অনেক ভারতীয় যে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করছে তার খবরও কিন্তু মিলছে। এই তো কিছুদিন আগে বাংলাদেশে পুলিশে ভুয়া ঠিকানা দিয়ে ভারতীয়রা প্রবেশ করছিলো বলে খবর এসেছে । এছাড়া মৌলভীবাজার জেলা, ফরিদপুর জেলা, চট্টগ্রাম জেলায়ও ভারতীয় অনুপ্রবেশের কথা জানিয়েছে অনেকে। এছাড়া আরো অনেকেই জানিয়েছে, তাদের জেলাতে হঠাৎ করে অপরিচিত হিন্দু ও হাতে লাল সূতা পরিহিত’র সংখ্যা অসম্ভবরকম বৃদ্ধি পেয়েছে, যা এর আগে কখনও দেখা যায়নি।

এছাড়া বাংলাদেশের চাকুরী সেক্টরে (সরকারী ও বেসরকারী) উভয় ক্ষেত্রে হিন্দিভাষী ভারতীদের ব্যাপক অস্তিত্বের খবর পাওয়া গেছে। বিভিন্ন সেতু বানানো, ফ্লাইওভার বানানো, বিদ্যুৎ সেক্টর, গার্মেন্টস সেক্টরে প্রচুর ভারতীয়’র অস্তিত্ব মিলছে। বিশেষ করে অনেক ফ্লাইওভারে নির্মাণ প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশী ‘তমা গ্রুপ’ হলেও ভেতরে কাজ করছে ভারতীয় কোম্পানি। এছাড়া ঢাকা শহরের বাইরে স্যাটেলাইট সিটি নির্মাণে রূপায়ন নামক একটি দেশী কোম্পানির ব্যানারে ভারতীয় কোম্পানির কাজ করার খবর পাওয়া গেছে।

ভারতীয়রা জানিয়েছে, বাংলাদেশে চাকুরী করলে অনেক সুবিধা। বাংলাদেশে শুধু বেতনেই পাওয়া যায় না, প্রচুর বোনাসও পাওয়া যায়। এক দূর্গা পূজায় ডবল বোনাস (বেসিকের দ্বিগুন) পাওয়া যায়, বৈশাখী বোনাস পাওয়া যায়। অথচ ভারতে উৎসব ভাতা বলে কোন ভাতাই চালু নেই।

এটা সবারই জানা, বাংলাদেশে শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর মধ্যে একটি বিরাট অংশ বেকার। বাংলাদেশে অানার্স-মাস্টার্স পাশ করে অনেক যুবককে এখনও বছরের পর বছর জুতার তলা ক্ষয় করতে হয়। কিন্তু এর মধ্যে যদি ভারতীরা এসে বাংলাদেশের চাকুরী সেক্টর দখল করা শুরু করে তবে বাংলাদেশীরা যাবে কোথায় ? আগে তো নিজ দেশের জনগণের চাকুরী, এরপর না বাইরের।

এ সমস্যার সমাধানে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত এগিয়ে আসবে বলে আশা করছি।

Leave a Reply