অত্যধিক খাটুনির ফলে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে জাপানে

সমস্যাটির নাম ‘কারোশি’, মাত্রাধিক চাপ থেকে শ্রমিক বা কর্মচারীর মৃত্যু৷ প্রথাগতভাবে পয়লা এপ্রিল তারিখে যে সব তরুণ-তরুণী জাপানে ওয়ার্কফোর্সে যোগদান করেছেন, তাদের ঠিক সেই চাপ সহ্য করতে হতে পারে৷
১লা এপ্রিল সারা জাপান জুড়ে ছোট-বড় কোম্পানির প্রায় ন’লাখ দশ হাজার নতুন শ্রমিক-কর্মচারীকে গালভরা বক্তৃতা দিয়ে স্বাগত জানান প্রেসিডেন্ট ও সিইও-রা৷ বলেন, এই কোম্পানি তাদের নতুন পরিবার৷ মিনা মোরি যেমন শুনেছিলেন ২০০৮ সালে, ওয়াতামি কোম্পানিতে যোগ দেবার সময়৷ এই কোম্পানি এক পর্যায় ‘ইজাকায়া’ বার চালায়৷ তার ঠিক দু’মাস পরেই ২৬ বছর বয়সি তরুণী মিনা আত্মহত্যা করেন৷
ওয়াতামি কোম্পানি মিনার বাবা-মাকে এক লাখ ইউরো ক্ষতিপূরণ দিতে রাজি হয় সবে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে৷ কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন জাপান সংসদের উচ্চকক্ষের সদস্য মিকি ওয়াতানাবে৷
১লা এপ্রিল সারা জাপান জুড়ে ছোট-বড় কোম্পানির প্রায় ন’লাখ দশ হাজার নতুন শ্রমিক-কর্মচারীকে গালভরা বক্তৃতা দিয়ে স্বাগত জানান প্রেসিডেন্ট ও সিইও-রা৷ বলেন, এই কোম্পানি তাদের নতুন পরিবার৷ মিনা মোরি যেমন শুনেছিলেন ২০০৮ সালে, ওয়াতামি কোম্পানিতে যোগ দেবার সময়৷ এই কোম্পানি এক পর্যায় ‘ইজাকায়া’ বার চালায়৷ তার ঠিক দু’মাস পরেই ২৬ বছর বয়সি তরুণী মিনা আত্মহত্যা করেন৷
ওয়াতামি কোম্পানি মিনার বাবা-মাকে এক লাখ ইউরো ক্ষতিপূরণ দিতে রাজি হয় সবে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে৷ কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন জাপান সংসদের উচ্চকক্ষের সদস্য মিকি ওয়াতানাবে৷
আইন আছে, কিন্তু তা-তে ধার নেই
জাপানে যে শ্রমিক-কর্মচারী সংক্রান্ত আইন নেই, এমন নয়৷ কিন্তু কোম্পানিরা শ্রমিক-কর্মচারী ও শ্রমিক সংগঠনগুলির সঙ্গে আলাদা করে চুক্তি সই করিয়ে নিয়ে আইনের বিপত্তি এড়িয়ে যায়৷ সেই সঙ্গে যুক্ত হয়েছে কর্পোরেট কালচার, যার অর্থ, সারাদিনের কাজ সারার পরেও অফিসের ঊর্ধ্বতন কর্মচারীর সঙ্গে পানশালায় গিয়ে সারাটা সন্ধ্যা পান করতে হবে৷
আর এক বিশেষজ্ঞের মতে, জাপানের ওয়ার্কফোর্সের বয়স ক্রমেই বাড়ছে, সে তুলনায় নবীনদের বিশেষ নেওয়া হচ্ছে না৷ কাজেই এককালের নবীনরা আর আগের মতো কাজও কর্পোরেট কালচারের যৌথ চাপ সহ্য করতে পারছেন না, হাই ব্লাড প্রেসার বা হার্ট অ্যাটাকে মারা যাচ্ছেন৷
বাড়ছে মানসিক রোগ, যেমন ডিপ্রেসন, অর্থাৎ মানসিক বিষাদ৷ চাকরি নিয়ে দুশ্চিন্তা ও কাজের চাপের ফলে তরুণ প্রজন্মের শ্রমিক-কর্মচারীরা দেরিতে বিয়ে করছেন৷ কাজেই আর একটি সমস্যা ঘনাচ্ছে: জনসংখ্যা হ্রাসের সমস্যা৷ কিন্তু তার সমাধান?

Leave a Reply