অতিরিক্ত কাজের চাপে প্রাণটাই গেল!
জাপান অ্যারোস্পেস এক্সপ্লোরেশন এজেন্সির (জেএএক্সএ) একটি স্যাটেলাইট প্রকল্পে কাজ করতেন ৩১ বছর বয়সী এক যুবক। বেশ চাপ নিয়ে কাজ করে যাচ্ছিলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ‘অতিরিক্ত কাজের’ চাপে প্রাণটাই হারালেন তিনি। তাঁর নামইয়োকিনোবো সাতো।
বৃহস্পতিবার বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৬ সালে প্রকল্পের কাজে যুক্ত হন ওই যুবক। তাঁকে বিশাল কাজের লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছিল। লক্ষ্য পূরণে বিনা পারিশ্রমিকে তিনি এক মাসে ৭০ ঘণ্টা অতিরিক্ত কাজ করেছিলেন। শেষ পর্যন্ত অতিরিক্ত কাজের চাপে নিজের প্রাণটাই হারিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৬ সালে প্রকল্পের কাজে যুক্ত হন ওই যুবক। তাঁকে বিশাল কাজের লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছিল। লক্ষ্য পূরণে বিনা পারিশ্রমিকে তিনি এক মাসে ৭০ ঘণ্টা অতিরিক্ত কাজ করেছিলেন। শেষ পর্যন্ত অতিরিক্ত কাজের চাপে নিজের প্রাণটাই হারিয়েছেন।
জাপানের দৈনিক আসাহি শিম্বুনের প্রতিবেদনে নামইয়োকিনোবো সাতোর পরিবারের আইনজীবীর বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, দেশটির শ্রম কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে অতিরিক্ত কাজের চাপেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
কিয়োদো সংবাদ সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি সপ্তাহে একটি আইন প্রণীত হয়েছে। যেখানে মাসে ৪৫ ও বছরে ৩৬০ ঘণ্টা অতিরিক্ত কাজে সীমা নির্ধারণ করা হয়। আইনটি অমান্য করলে সংশ্লিষ্ট কোম্পানিকে ৩ লাখ ইয়েন জরিমানা গুনতে হবে।
ওই যুবকের পরিবারের পক্ষের এক আইনজীবী বলেন, সাতো এক শিফটে ১৬ ঘণ্টার বেশি কাজ করতেন।
সাতোর নিয়োগদাতা সফটওয়্যার পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনার বিষয়ে তাঁরা সতর্ক থাকবেন। আর জেএএক্সএ বলছে, পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে প্রয়োজনে নিজেদের রীতিনীতি উন্নত করবে।
প্রসঙ্গত, জাপানে ২০১৭ সালে অতিরিক্ত কাজ-সংক্রান্ত চাপে ২০০ জন মারা গেছেন।